খুলনায় ঈদকে সামনে রেখে চাঁদাবাজি ছিনতাই ও হত্যা,
শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু ব্যূরো প্রধান খুলনা,!
ধীরে ধীরে শান্ত খুলনা আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে পবিত্র রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে চলছে চাঁদাবাজি চুরি ছিনতাই সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড, আর এরই মধ্য অর্থ ও ক্ষমতার লড়াইয়ে নিমিষেই ঝড়ে পড়েছে তরতাজা প্রাণ, খুলনায় গেল ৭ মাসে ১৩ টি হত্যার ঘটনা ঘটলেও অপরাধীরা শনাক্ত হচ্ছে না সর্বশেষ শনিবার রাতে শাহীনুর রহমান ওরফে শাহীন (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, শাহিনুর রহমান ওরফে শাহীন দৌলতপুর থানার কার্তিক কুল এলাকার আব্দুর রশিদের পুত্র, তার বিরুদ্ধে হত্যা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে এসব ঘটনায় খুলনায় সাধারণ মানুষ এখন চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন,
কয়েকটি সূত্র জানায় নগরী ও জেলায় হত্যা ডাকাতি ছিনতাই ,মারামারি, চুরি, সহ অপরাধমূলক কর্মকান্ড আশঙ্কাজনক জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে শুধু গত ৬ মাসে হত্যা ও মারামারিতে ব্যবহৃত অসংখ্য অস্ত্রে ব্যবহার হলেও এখনো একটি অস্ত্র ও উদ্ধার করতে পারেননি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সংগঠিত হত্যাকাণ্ড গুলোর সঠিক কারণ ও প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারছেন না হত্যাকাণ্ড গুলোর সঠিক কারণ ও অনুসন্ধান করতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা,
সর্বশেষ নগরীর সদর থানা এলাকায় গত ১৫ মার্চ রাত সাড়৯,টায় চাঁদা দাবিতে এক তেল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও গুলি করে যখন করে সন্ত্রাসীরা, একি তারিখ রাত সাড়ে ১১,টায় শাহীন নামের এক চরমপন্থী নেতা ও কয়েকটি মামলার আসামি শাহীন (৪৫) গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষ,
খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সানোয়ার হোসেন মাসুম জানান, রবিবার সকালে শাহিনের মরা দেহ ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে পুলিশ হস্তান্তর করেন, পরে তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের রামপালে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়, তিনি জানান নিহত শাহিনের নামে এখন পর্যন্ত দৌলতপুরের হুজি শাহীদ ও সাবেক কাউন্সিলর টিপুসহ তিনটি হত্যা ও অস্ত্রের আইনে মামলা রয়েছে, শাহীন একটি চরমপন্থী দলের খুলনার দায়িত্বে ছিল, তবে তার হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেননি পুলিশ,
খুলনার উল্লেখ জনক কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের মধ্য রয়েছে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি রাতে নগরীর তেঁতুল তলা মোড়ে এলাকায় একটি চা দোকানের সামনে কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র অর্ণব সরকারকে গুলিও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে, ২০ জানুয়ারি নগরীর সদর থানার ২১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা মোঃ মানিক হাওলাদার কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা,
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব সরকার হত্যাকাণ্ডে চারজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য হেফাজতে নিয়েছে, কিন্তু পুলিশ এখনো হত্যাকাণ্ডের সঠিক কোন কারণ উদঘাটন করতে পারেননি, এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও উদ্ধার করতে পারছে না, ২০ জানুয়ারি বিকালে নগরীর সদর থানার ২১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা মোঃ মানিক হাওলাদার কে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা, একদিন সন্ধ্যায় কমার্স কলেজের সামনে ছাত্রদল কর্মী নওফেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম করে দুর্বৃত্তরা, তিনি ২৯ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপি'র যুগ্ন আহ্বায়ক মহাবুবুর রহমান লিটুর পুত্র, এর আগে নগরীর সদর থানার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রিপাড়া রসূলবাগ মসজিদের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন শেখের নামে এক যুবদল নেতাকে গুলি করে যখম করে দুর্বৃত্তরা,
নাগরিক নেতারা বলেছেন, খুলনায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে না, নগরীসহ জেলার নয় উপজেলার অপরাধমূলক কর্মকান্ড আসংখ্যাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, ইতিপূর্বে বিএনপি'র সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনগুলো যেমন এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, যুবদল নেতা মানিক হাওলাদার অর্ণব সহ কয়েকটি ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে, অপর মামলাগুলো নিয়ে কাজ চলছে তবে সকল হত্যাকাণ্ডের ঠিকাদারি ব্যবসা নারী ও সন্ত্রাসী গ্রুপের কোন না কোন সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তিনি বলেন নগরীর সব এলাকায় টহল সহ তদন্ত কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে,