সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারের বিরুদ্ধে, নীলিমা আকতার চৌধুরীর তীব্র প্রতিবাদ ও বিবৃতি
:নিউজ দৈনিক আমাদের দেশের খবর, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
জনাবা নীলিমা আকতার চৌধুরীর তীব্র প্রতিবাদ ও বিবৃতি,
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারের বিরুদ্ধে,জনাবা নীলিমা আকতার চৌধুরীর তীব্র প্রতিবাদ ও বিবৃতি
আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, জনাব নীলিমা আকতার চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত ও সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টা নয়, বরং সারাদেশের নারীদের অগ্রগতির পথে এক নগ্ন হস্তক্ষেপ। আমরা এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জনাব নীলিমা আকতার চৌধুরীর পারিবারিক অবস্থান :
জনাব নীলিমা আকতার চৌধুরী, একজন স্বনামধন্য নারী উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তিনি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম শেখ মফিজুর রহমান চৌধুরী ছিলেন একজন জনদরদী সমাজসেবক ও সফল ব্যবসায়ী, যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে এলাকার উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি কক্সবাজারস্থ বৃহত্তর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তদানন্তীন পাক আমলে (১৯৬৩-১৯৭১) প্রায় ০৮ বছর চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠ ছিলেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগীতার কারণে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চেয়ারম্যান পদ কেড়ে নেয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তীতে দেশ পূর্নগঠনে পারিবারিক অর্থায়নে জোয়ারিয়ানালা পরবর্তীতে রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এর জন্য ০৬.০৬ বিঘা জমিসহ বেশ কিছু কমিনিউটি স্কুল, পানিরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১১.৩০ কানি জমি, জোয়ারিয়ানালার মালাপাড়া গ্রামে ভূমিহীনদের ৫.০ কানি জমি, মতিউর রহমান মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ও স্থাপন, ভারুয়াখালি একটি মাদ্রাসার জন্য ৩.০ কানি জমি, এতিমখানা, মক্তব, মাদরাসা, মসজিদ, টিউবওয়েল, পাতকুয়া স্থাপন করার জন্য প্রায় ৫০ বিঘা নিজস্ব জমি দান করেন ও নির্মাণ করে দেন। নীলিমা আকতার চৌধুরীর পিতা শেখ মফিজুর রহমান জনকল্যাণমূলক কাজে সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন। জনাব শেখ মফিজুর রহমান চৌধুরী প্রকাশ মফিজ মিয়া নামে সর্বাধিক পরিচিত যার অবদান সারা রামু তথা কক্সবাজারবাসী সম্যক অবগত এবং সর্বসাধারনের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। উল্লেখ্য যে, কক্সবাজারের নিরিবিলি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জনাব মুস্তাফিজুর রহমান ও আল্লাহ ওয়ালা হ্যাঁচারীর জনাব আবুল কাশেম মিয়ান সাথে জনাব শেখ মফিজুর রহমান চৌধুরীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। নীলিমা আক্তার চৌধুরীর পরিবারের চট্টগ্রামস্থ জামালখানের ১৯৫৪ সালের সেই ঐতিহাসিক বাড়ীর সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলেন বর্তমানের নামকরা অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যার মধ্যে বিএনপির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত জনাব আবদুল্লাহ্ আল নোমান সাহেব, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জনাব সালাউদ্দিন সাহেব যিনি নীলিমা আক্তার চৌধুরীর বড় ভাই মামুনুর রশিদ চৌধুরী সাহেবের ১৯৮০-৯০ সালে চট্টগ্রামের জামালখানস্থ জিয়াংসু চায়নিজ রেষ্টুরেন্টের ব্যবসায়িক সর্ম্পক ইত্যাদি ছাড়াও আরো অনেক কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বর্তমানের নামকরা ব্যক্তিত্ব! ২ পাতা অংশ